ঢাকা টু বরিশাল বাস সময়সূচী
ঢাকা থেকে বরিশাল ভ্রমণ বাংলাদেশের একটি সাধারণ ও গুরুত্বপূর্ণ রুট। এই রুটে দিনে হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করে। ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে, শিক্ষা, চিকিৎসা বা পারিবারিক সফরের জন্য যাত্রীরা এই রুটটি ব্যবহার করে।
ঢাকা থেকে বরিশাল দূরত্ব প্রায় ৩২০ কিলোমিটার এবং বাসে প্রায় ৬–৮ ঘণ্টা সময় লাগে। রাস্তায় ট্রাফিক ও আবহাওয়া অনুযায়ী সময় কিছুটা পরিবর্তিত হতে পারে। ঢাকা থেকে বরিশালে ভ্রমণ বিভিন্ন ধরনের বাসের মাধ্যমে সম্ভব। এসি ও নন-এসি বাস, প্রিমিয়াম এবং সিম্পল সার্ভিস সব ধরনের বাস এখানে পাওয়া যায়। যাত্রীদের আরামদায়ক যাত্রার জন্য আধুনিক পরিবহন ব্যবস্থা রয়েছে।
বাস রুটটি বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ দক্ষিণাঞ্চলীয় রুটগুলোর মধ্যে একটি। যাত্রীরা আগাম টিকেট বুকিং বা কাউন্টারে টিকেট কিনে যাত্রা শুরু করতে পারে। সঠিক সময়সূচী এবং ভাড়া জানা থাকলে ভ্রমণ অনেক সহজ হয়ে যায়। শহর থেকে শহরে নিরাপদ ও দ্রুত পৌঁছানোর জন্য এই রুটে নিয়মিত বাস চলাচল করে। ভ্রমণ পরিকল্পনা করার আগে বিভিন্ন বাস কোম্পানির সুবিধা, ভাড়া ও যাত্রার সময় জানা গুরুত্বপূর্ণ।
ঢাকা থেকে বরিশাল রুটটি সব ধরনের যাত্রীদের জন্য সুবিধাজনক। ব্যবসায়ী, ছাত্র-ছাত্রী, পরিবার বা পর্যটক—সকলেই এই রুটে বাস ব্যবহার করে।পরিকল্পিত ভ্রমণ করলে যাত্রা হবে স্বাচ্ছন্দ্যময় এবং সময়োপযোগী।
ঢাকা টু বরিশাল বাস সময়সূচী

ঢাকা থেকে বরিশাল রুটে বিভিন্ন বাস কোম্পানি নিয়মিত যাত্রা পরিচালনা করে। ভাড়া ও সময়সূচী ভিন্ন হতে পারে। নীচের টেবিলটি যাত্রীদের সুবিধার্থে প্রস্তুত করা হয়েছে, যা দেখে তারা সহজেই তাদের যাত্রা পরিকল্পনা করতে পারবেন। টেবিলে প্রতিটি বাস কোম্পানির প্রায় ভাড়া, প্রথম ট্রিপ, শেষ ট্রিপ এবং ফ্রিকোয়েন্সি উল্লেখ করা হয়েছে।
| বাস কোম্পানি | প্রায় ভাড়া (টাকা) | প্রথম ট্রিপ | শেষ ট্রিপ | ফ্রিকোয়েন্সি |
| সাকুরা পরিবহন | ৫০০-৬০০ | ৬:০০ AM | ৯:০০ PM | প্রতি ১ ঘন্টা |
| শ্যামলী পরিবহন: | ৫৫০-৬৫০ | ৫:৩০ AM | ১০:০০ PM | প্রতি ১.৫ ঘন্টা |
| গ্রীন সেন্টমার্টিন | ৪৫০-৫৫০ | ৬:৩০ AM | ৮:৩০ PM | প্রতি ২ ঘন্টা |
| ইউরো কোচ | ৫০০-৬০০ | ৭:০০ AM | ৯:৩০ PM | প্রতি ১.৫ ঘন্টা |
| সেন্টমার্টিন ট্রাভেলস | ৭০০-৮০০ | ৫:০০ AM | ৯:০০ PM | প্রতি ২ ঘন্টা |
ঢাকা টু বরিশাল বাস কাউন্টার নম্বর সমূহ
প্রতিটি বাস কোম্পানির নিজস্ব কাউন্টার রয়েছে যেখানে যাত্রীরা সরাসরি টিকেট সংগ্রহ করতে পারে। নীচে প্রধান কিছু বাসের নাম, তাদের কাউন্টার অবস্থান ও মোবাইল নম্বর দেওয়া হলো। এটি যাত্রীদের জন্য সুবিধাজনক হবে, যাতে তারা সহজে টিকেট বুকিং করতে পারেন।
| বাস কোম্পানি | কাউন্টার নাম | মোবাইল নম্বর |
|---|---|---|
| সাকুরা পরিবহন | মধুপুর কাউন্টার | ০১৯৭৬-২৬৮০২৬ |
| শ্যামলী পরিবহন: | শ্যামলী কাউন্টার | +৮৮০২-৯১৪১১২২ |
| গ্রীন সেন্টমার্টিন এক্সপ্রেস: | কাকরাইল কাউন্টার | ০১৮৭৫০৯৯১৪০ |
| ইউরো কোচ | কারওয়ানবাজার কাউন্টার | ০১৬১৮৫৩৪১৯১ |
| সেন্টমার্টিন ট্রাভেলস | গুলশান কাউন্টার | ০১৩১৩৪৭৬৪১০ |
এখান থেকে যাত্রীরা সরাসরি টিকেট কিনতে পারেন বা আগাম বুকিং করতে ফোন করতে পারেন। এতে যাত্রা হবে সহজ ও সুবিধাজনক।
বাস টিকেট কেনার পদ্ধতি?

ঢাকা থেকে বরিশাল যাওয়ার জন্য বাস টিকেট কেনার কিছু সহজ পদ্ধতি রয়েছে। প্রথমে যাত্রীরা সরাসরি বাস কাউন্টারে গিয়ে টিকেট কিনতে পারেন। এখানে বিভিন্ন শ্রেণির বাসের টিকেট পাওয়া যায়। কাউন্টারে টিকেট কিনলে যাত্রীরা সিট পছন্দ করতে পারেন এবং ভ্রমণের আগে নিশ্চিত হতে পারেন।
দ্বিতীয়ত, অনলাইনে টিকেট বুকিং একটি জনপ্রিয় পদ্ধতি। এখন বিভিন্ন ওয়েবসাইট এবং মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে টিকেট কেনা যায়। অনলাইনে বুকিং করলে যাত্রী আগে থেকেই সিট নিশ্চিত করতে পারেন। এছাড়াও, মোবাইল ফোনে এসএমএস বা ইমেইলের মাধ্যমে টিকেট ভেরিফিকেশন পাওয়া যায়।
টিকেট কেনার সময় বাসের ধরন, ভাড়া, যাত্রার সময় এবং অন্যান্য সুবিধা যাচাই করা গুরুত্বপূর্ণ। কিছু কোম্পানি এসি, নন-এসি এবং ডিলাক্স সার্ভিস সরবরাহ করে। যাত্রীরা তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী সঠিক বাস নির্বাচন করতে পারেন।
কাউন্টারে বা অনলাইনে টিকেট কেটে যাত্রা শুরু করার আগে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস সঙ্গে রাখা উচিত। কিছু কোম্পানি পরিচয়পত্র চায়। এছাড়াও, বিশেষ ছুটির দিনে আগে থেকে টিকেট বুকিং করা বাঞ্ছনীয়।
অনলাইনে টিকেট বুকিং করলে পেমেন্ট বিভিন্ন মাধ্যমে করা যায়—বিকাশ, নগদ, ক্রেডিট/ডেবিট কার্ড। অনলাইনে বুকিং সুবিধা হলো যে যাত্রীরা বাসের সময়সূচী ও ভাড়া তুলনামূলকভাবে সহজে দেখতে পারেন।
অতিরিক্ত সুবিধা হিসেবে কিছু কোম্পানি রিটার্ন টিকেট বা গ্রুপ টিকেট অফার করে। বড় পরিবার বা দল নিয়ে ভ্রমণ করলে এটি উপকারী।
শেষে, যাত্রীরা বাসে ওঠার সময় টিকেট এবং পরিচয়পত্র প্রদর্শন করে যাত্রা শুরু করতে হবে। এটি নিরাপদ ও স্বাচ্ছন্দ্যময় যাত্রা নিশ্চিত করে।
ঢাকা থেকে বরিশাল যাত্রার জন্য সবচেয়ে সস্তা বাস কোনটি?
সাধারণত পলাশ সার্ভিস বা নন-এসি সাধারণ সার্ভিস বাস সবচেয়ে সস্তা। ভাড়া প্রায় ৪৫০-৫৫০ টাকা হয়। তবে সেবা ও আরামের দিক বিবেচনা করে বাস নির্বাচন করা উত্তম।
বাস টিকেট অনলাইনে কিভাবে বুক করা যায়?
অনলাইনে টিকেট বুক করার জন্য বিভিন্ন ওয়েবসাইট এবং মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করা যায়। যাত্রী তাদের যাত্রার তারিখ, সময় এবং সিট পছন্দ করে পেমেন্ট সম্পন্ন করলে টিকেট নিশ্চিত হয়।
উপসংহার
ঢাকা থেকে বরিশাল রুটটি বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ বাস রুটগুলোর একটি। এখানে নিয়মিত বাস চলাচল করে এবং যাত্রীরা সহজে ভ্রমণ করতে পারেন। ভাড়া ও সময়সূচী জানা থাকলে ভ্রমণ অনেক সুবিধাজনক হয়।
বাসের ধরন ও সেবার মান অনুযায়ী যাত্রীরা তাদের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত বাস নির্বাচন করতে পারেন। এসি, নন-এসি, প্রিমিয়াম বা সাধারণ সার্ভিস—সব ধরনের বাস পাওয়া যায়।
যাত্রীরা চাইলে সরাসরি কাউন্টারে গিয়ে টিকেট কিনতে পারেন বা অনলাইনে বুকিং করতে পারেন। অনলাইন বুকিং সুবিধাজনক ও দ্রুত।
ভ্রমণ পরিকল্পনার সময় বাসের সময়সূচী, ভাড়া ও সুবিধা যাচাই করা গুরুত্বপূর্ণ। এতে সময় ও অর্থের সাশ্রয় হয়।
পরিবার, ব্যবসায়ী, পর্যটক বা ছাত্র-ছাত্রীরা সকলেই এই রুটে বাস ব্যবহার করে। সঠিক পরিকল্পনা ও প্রস্তুতি নিয়ে যাত্রা করলে এটি স্বাচ্ছন্দ্যময় হয়।
ঢাকা থেকে বরিশাল রুটে নিয়মিত ও নিরাপদ যাত্রার জন্য বাস কোম্পানিগুলোর তথ্য জানা জরুরি। এছাড়াও, যাত্রীরা যেকোনো সমস্যায় কাউন্টার বা হেল্পলাইনে যোগাযোগ করতে পারেন।
ভ্রমণ নিরাপদ, আরামদায়ক ও সুবিধাজনক করতে প্রতিটি যাত্রীকে নিয়ম মেনে চলা উচিত।
