train1

খুলনা টু বেনাপোল ট্রেনের সময়সূচী ও ভাড়া

খুলনা থেকে বেনাপোল — এটি দক্ষিণ-পশ্চিম বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ রুট। বেনাপোল হচ্ছে ভারত–বাংলা সীমান্ত শহর; এখানে বাণিজ্য, যাতায়াত ও কাস্টমস কার্যক্রম অনেক। খুলনা থেকে বেনাপোলে যাতায়াত করার জন্য ট্রেন ও বাস—দুটোই সাধারণ পছন্দ। ট্রেনটি সস্তা এবং স্থানীয়দের কাছে জনপ্রিয়, আর বাসগুলো তুলনায় দ্রুত বা বেশি ফ্লেক্সিবল সময় দিতে পারে। ভ্রমণের আগে সময়সূচি, ভাড়া ও কাউন্টার নম্বর দেখে নিলে ঝামেলা কম লাগে। নিচে ট্রেন-টাইম, সাধারণ ভাড়া, এবং জনপ্রিয় বাস অপারেটরদের তথ্যসহ একটি বিশদ গাইড সাজানো হলো — বাংলাদেশ ভিত্তিক দরকারি নোট, কাউন্টার নম্বর এবং ভ্রমণ প্রস্তুতির ধাপসমূহও পাওয়া যাবে।

খুলনা টু বেনাপোল ট্রেনের সময়সূচী ও ভাড়া

train2

এই রুটে মূলত কমিউটার ধাঁচের লোকাল ট্রেনগুলো নিয়মিত চলতে দেখা যায়। ট্রেনের ভাড়া সাধারণত স্থানীয় শ্রেণী (শোভন/সিটিং) অনুযায়ী কম থাকে—দীর্ঘ দূরত্বের আন্তঃনগর ট্রেন নয়, তাই টিকিট সস্তা। নিচের টেবিলে ট্রেন ও কিছু জনপ্রিয় বাস অপারেটরের আনুমানিক ভাড়া, প্রথম ও শেষ যাত্রা সময় ও চলাচলের ফ্রিকোয়েন্সি দেওয়া হলো (সত্যায়নের জন্য অফিসিয়াল বা বিখ্যাত বুকিং সাইট চেক করবেন)। 

পরিবহন/অপারেটরভাড়া (প্রায়)প্রথম ট্রিপ (খুলনা থেকে)শেষ ট্রিপ (খুলনা থেকে)ফ্রিকোয়েন্সি
কমিউটার — বেতনা এক্সপ্রেস-১ (ট্রেন)~৪০–৭০ ট৬:১৫ AMদৈনিক (প্রতিদিন)। 
কমিউটার — বেতনা এক্সপ্রেস-৩ (ট্রেন)~৪৫–৮০ ১২:৪৫ PMদৈনিক (প্রতিদিন)।
Green Line (বাস)~১৫০–২৫৭:০০ AM (নেমে-চড়ে ভিন্ন)রাতের সেবা আছেদিনজুড়ে একাধিক সার্ভিস। 
Hanif Enterprise (বাস)~১২০–২৫সকাল থেকে সন্ধ্যারাতেও কিছু সার্ভিসনির্দিষ্ট সময়ে/বুকিং অনুযায়ী। 
Seven Star / অন্যান্য (বাস)~১৩০–৩০ভিন্ন-ভিন্নভিন্ন-ভিন্নসীমিত বা নিয়মিত সার্ভিস (রুটভিত্তিক)। 

নোট: উপরোক্ত সময় ও ভাড়া অনলাইন-তথ্য ও স্থানীয় কউন্টার তথ্য থেকে সংগ্রহ করা আনুমানিক তথ্য। সরাসরি বাংলাদেশ রেলওয়ে বা অপারেটরের অফিসিয়াল পেজ/কাউন্টার থেকে চূড়ান্ত যাচাই করুন। 

(কাউন্টার নাম ও মোবাইল নম্বর)

কাউন্টার নম্বর ও অফিসিয়াল যোগাযোগ জানলে টিকেট, রিজার্ভেশন ও কনফার্মেশনের ঝামেলা অনেক কমে যায়। নিচে কয়েকটি বড় অপারেটরের অফিসিয়াল যোগাযোগ ও জনপ্রিয় কাউন্টার নম্বর (যেগুলো অনলাইনে অফিসিয়াল অথবা বিশস্ত বুকিং সাইটে পাওয়া যায়) দেওয়া হলো — যাতায়াতের আগে ফোন করে নিশ্চিত করুন।

Green Line Paribahan (কেন্দ্রীয়) — ফোন: ০৮৩১৫৩৮০ (ডেস্ক/অফিস)। স্থানীয় কাউন্টার পেতে তাদের ওয়েবসাইটের কাউন্টার লিস্ট চেক করুন। 

Hanif Enterprise (কাস্টমার কেয়ার) — ফোন: ০১৭৫৫-৫৩৮৮৮১ (সাধারণ কনট্যাক্ট তথ্য)। স্থানীয় খালিসা/সোনাডাঙ্গা কাউন্টারের নম্বর তারা ফেসবুক/সাইটে আপডেট করে। 

Seven Star Paribahan / বিডিটিকেট-16460 (বুকিং সার্ভিস) — কাস্টমার কেয়ারের জন্য 16460 (বুকিং হেল্পলাইন) বা সেভেন স্টারের স্থানীয় কাউন্টার নম্বর ওয়েবসাইট/লোকাল লিস্টে আছে।

বিভিন্ন কাউন্টার-নোট: স্থানীয় কাউন্টার নম্বর ক্ষেত্রভিত্তিক ও সময়ের সঙ্গে পরিবর্তিত হতে পারে। বড় অপারেটরের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট বা 16460 ধরনের বুকিং পোর্টাল থেকেও কনফার্ম করুন। 

(টিকিট কাটা ও যাত্রার প্রস্তুতি)

train3

আপনার যাত্রার দিন নির্ধারণ করুন এবং বিকল্প সময়ও রাখুন।

ট্রেন হলে বাংলাদেশ রেলওয়ে বা নির্ভরযোগ্য ট্রেন-শিডিউল সাইট চেক করুন; বাস হলে Shohoz/BDTickets/অপারেটর সাইটে দেখুন। Shohoz+1

কাউন্টার নম্বর দিয়ে কনফার্ম করুন—বিশেষত রাতে বা ছুটির দিনে। Shohoz

অনলাইনে টিকিট কাটলে কনফার্মেশন ও টিকিট সংরক্ষণ করুন; কাউন্টারের কাগজপত্র সেভ করে রাখুন।

যাত্রার আগের রাতে ব্যাগ প্যাক, দরকারি কাগজপত্র, পানি ও নাস্তা প্রস্তুত রাখুন।

স্টেশনে সময়মতো পৌঁছান—ট্রেন/বাস ছাড়ার ৩০–৬০ মিনিট আগে উপস্থিত থাকলে ভাল হয়।

খুলনা থেকে বেনাপোলে ট্রেন কত সময় নেয়?

ট্রেন ধরলে সাধারণত ২–৩ ঘণ্টার মধ্যে পৌঁছানো যায়—ট্রেন ধরার ধরন ও স্টপেজের উপর নির্ভর করে সময় পরিবর্তিত হয়। রাস্তা ব্যবহার করলে ট্রাফিক ও রাস্তা পরিস্থিতি মাথায় রেখে সময় কম-বেশি হতে পারে। 

আমি কীভাবে টিকিট আগে থেকে রিজার্ভ করব?

ট্রেনের জন্য বাংলাদেশ রেলওয়ের অনলাইন সার্ভিস অথবা স্টেশন কাউন্টার থেকে টিকিট রিজার্ভ করা যায়; বাসের জন্য Shohoz, BDTickets বা সরাসরি অপারেটরের ওয়েবসাইট/কাউন্টার ব্যবহার করুন। বড় ও উৎসব-মূখী দিনে আগেভাগে টিকিট নেওয়া উত্তম। 

উপসংহার

খুলনা থেকে বেনাপোল যাতায়াত সহজ—ট্রেন ও বাস দুটোই নির্দিষ্ট সুবিধা দেয়। ট্রেন সাশ্রয়ী ও নিয়মিত; বাস দ্রুত ও নমনীয়। সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য—আপনার প্রয়োজন (দ্রুততা, সাশ্রয়ে ভ্রমণ, বড় মালপত্র, বা সময়সূচি)—এই তিনটি নির্ধারণ করুন। যাত্রার আগে অফিসিয়াল সাইট বা বিক্ষত বুকিং প্ল্যাটফর্মে (Shohoz, BDTickets) সময় ও টিকিট কনফার্ম করে নিন; বিশেষ করে ছুটির দিন ও উৎসবকালে আগেই রিজার্ভেশন থাকা ভালো। কাউন্টার নম্বর সেভ করে রাখুন—মাঝে মাঝে রুট-চলাচলে আপডেট আসতে পারে। নিরাপদ, পরিকল্পিত ও আরামদায়ক যাত্রার জন্য পূর্বপ্রস্তুতি নিন—তার ফলে বেনাপোল পর্যন্ত আপনার যাত্রা হবে সহজ ও ঝামেলামুক্ত। 

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *