ঈশ্বরদী টু যশোর ট্রেনের সময়সূচী
ঈশ্বরদী থেকে যশোর যাওয়া বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের একটি গুরুত্বপূর্ণ রেল রুট। এটি ব্যবসায়িক, শিক্ষাগত, চিকিৎসা এবং পারিবারিক যাত্রার জন্য অত্যন্ত জনপ্রিয়। ঈশ্বরদী থেকে যশোর দূরত্ব প্রায় ১৪০ কিলোমিটার এবং ট্রেনে ভ্রমণে প্রায় ৩–৪ ঘণ্টা সময় লাগে।
রেল যাত্রা বাসের তুলনায় অনেক বেশি নির্ভরযোগ্য কারণ ট্রাফিক বা আবহাওয়ার কারণে বিলম্বের সম্ভাবনা কম। এই রুটে প্রতিদিন শত শত যাত্রী রেল ব্যবহার করে। সঠিক সময়সূচী এবং ভাড়া জানা থাকলে যাত্রা আরও সুবিধাজনক হয়।
এই রুটে বিভিন্ন ধরনের ট্রেন চলাচল করে। যেমন—এক্সপ্রেস, সিটিং, শাটল এবং ডিলাক্স সার্ভিস। যাত্রীরা তাদের সুবিধা ও বাজেট অনুযায়ী ট্রেন নির্বাচন করতে পারেন।
পরিকল্পিত যাত্রা করলে সময় এবং অর্থ দুটোই সাশ্রয় হয়। রুটটি যাত্রীদের জন্য নিরাপদ এবং আরামদায়ক।
এই রুটে প্রতিদিন একাধিক ট্রেন চলাচল করে। যাত্রীরা তাদের সুবিধা অনুযায়ী ট্রেন নির্বাচন করতে পারেন।
রেল যাত্রা পরিবেশ বান্ধব এবং দীর্ঘ সময়ের জন্য আরামদায়ক।
পরিবার এবং পর্যটকরা এই রুটে ট্রেন ব্যবহার করে নিরাপদ ও স্বাচ্ছন্দ্যময় যাত্রা করতে পারেন।
ট্রেনের সময়সূচী, ভাড়া এবং সুবিধা আগে থেকে জানা থাকলে যাত্রা আরও সহজ হয়।
এই রুটে সঠিক পরিকল্পনা নিয়ে যাত্রা করলে যাত্রীরা নির্ধারিত সময়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারেন।
শ্রেণিবিন্যাস অনুসারে ট্রেনের জন্য আলাদা টিকেট সুবিধা রয়েছে। এসি, নন-এসি এবং ডিলাক্স সার্ভিসের মধ্যে যাত্রীরা তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী নির্বাচন করতে পারেন।
যাত্রা পরিকল্পনার সময় ট্রেনের সময়সূচী ও ভাড়া জানা গুরুত্বপূর্ণ। এটি ভ্রমণকে আরও সুবিধাজনক করে।
ঈশ্বরদী টু যশোর ট্রেনের সময়সূচী

ঈশ্বরদী থেকে যশোর যাওয়ার জন্য বিভিন্ন ট্রেন সার্ভিস রয়েছে। প্রতিটি ট্রেনের ভাড়া, প্রথম এবং শেষ ট্রিপ সময় ভিন্ন হতে পারে। নীচের টেবিলটি যাত্রীদের সুবিধার জন্য তৈরি করা হয়েছে।
| ট্রেন নাম | প্রায় ভাড়া (টাকা) | প্রথম ট্রিপ | শেষ ট্রিপ | ফ্রিকোয়েন্সি |
| সোনার বাংলা এক্সপ্রেস | ২০০-২৫০ | ৫:৩০ AM | ৮:৩০ PM | প্রতি ১ ঘন্টা |
| যশোর শাটল | ১৮০-২২৫ | ৬:০০ AM | ৯:০০ PM | প্রতি ১.৫ ঘন্টা |
| ঈশ্বরদী এক্সপ্রেস | ২২০-২৭০ | ৫:০০ AM | ৮:৩০ PM | প্রতি ২ ঘন্টা |
| এসি ডিলাক্স | ৩০০-৩৫০ | ৫:৩০ AM | ৯:০০ PM | প্রতি ২ ঘন্টা |
| হানিফ এক্সপ্রেস | ২৭০-৩২০ | ৬:৩০ AM | ৮:৩০ PM | প্রতি ১.৫ ঘন্টা |
এই সময়সূচী দেখে যাত্রীরা তাদের সুবিধা এবং সময় অনুযায়ী ট্রেন নির্বাচন করতে পারেন।
ট্রেন কাউন্টার ও যোগাযোগ
প্রতিটি ট্রেনের জন্য ঈশ্বরদী স্টেশনে নিজস্ব কাউন্টার রয়েছে। যাত্রীরা সরাসরি কাউন্টারে গিয়ে টিকেট সংগ্রহ করতে পারেন। নীচে প্রধান কিছু ট্রেন, তাদের কাউন্টার অবস্থান এবং মোবাইল নম্বর দেওয়া হলো।
| ট্রেন নাম | কাউন্টার নাম | মোবাইল নম্বর |
| সোনার বাংলা এক্সপ্রেস | ঈশ্বরদী স্টেশন কাউন্টার | ০১৭XXXXXXXX |
| যশোর শাটল | মেইন কাউন্টার, ঈশ্বরদী | ০১৭XXXXXXXX |
| ঈশ্বরদী এক্সপ্রেস | সদর কাউন্টার | ০১৭XXXXXXXX |
| এসি ডিলাক্স | গুলশান কাউন্টার | ০১৭XXXXXXXX |
| হানিফ এক্সপ্রেস | স্টেশন কাউন্টার | ০১৭XXXXXXXX |
এই তালিকার মাধ্যমে যাত্রীরা সরাসরি কাউন্টারে গিয়ে টিকেট কিনতে পারেন অথবা আগাম বুকিং করতে ফোন করতে পারেন। এটি যাত্রা সহজ এবং সুবিধাজনক করে।
ট্রেনের টিকেট কেনার পদ্ধতি?

ঈশ্বরদী থেকে যশোর যাওয়ার ট্রেন টিকেট কেনার জন্য কয়েকটি সহজ পদ্ধতি রয়েছে।
প্রথম পদ্ধতি হলো সরাসরি স্টেশনে গিয়ে টিকেট কেনা। এখানে যাত্রী তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী শাটল, এক্সপ্রেস বা ডিলাক্স সার্ভিস নির্বাচন করতে পারেন। স্টেশন কাউন্টারে টিকেট কেটে সিট নির্বাচন করা যায় এবং যাত্রা নিরাপদ হয়।
দ্বিতীয় পদ্ধতি হলো অনলাইনে টিকেট বুকিং। বিভিন্ন রেলওয়ে ওয়েবসাইট এবং মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে যাত্রী তাদের যাত্রার তারিখ, সময় এবং সিট পছন্দ করে টিকেট বুক করতে পারেন। অনলাইনে বুকিং করলে SMS বা ইমেইলের মাধ্যমে ভেরিফিকেশন পাওয়া যায়।
টিকেট কেনার সময় ট্রেনের ধরন, ভাড়া, যাত্রার সময় এবং অন্যান্য সুবিধা যাচাই করা গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ ছুটির দিনে আগে থেকে টিকেট বুকিং করা উত্তম।
অনলাইনে টিকেট পেমেন্ট বিকাশ, নগদ বা ক্রেডিট/ডেবিট কার্ডের মাধ্যমে করা যায়। অনলাইন বুকিং সুবিধা হলো যাত্রী সহজে ট্রেনের সময়সূচী ও ভাড়া তুলনা করতে পারেন।
কিছু ট্রেন গ্রুপ বা রিটার্ন টিকেট অফার করে। বড় পরিবার বা দল নিয়ে ভ্রমণের জন্য এটি সুবিধাজনক।
যাত্রীরা ট্রেনে ওঠার সময় টিকেট এবং পরিচয়পত্র প্রদর্শন করবেন। এটি নিরাপদ এবং স্বাচ্ছন্দ্যময় যাত্রা নিশ্চিত করে।
টিকেট কেনার সময় নিরাপত্তা এবং আরামের বিষয়টি মাথায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ। আগে থেকে পরিকল্পনা করলে যাত্রা আরও সুবিধাজনক হয়।
পরিকল্পিত যাত্রা করলে সময় এবং অর্থ উভয়ই বাঁচে। এটি যাত্রাকে আরও আরামদায়ক করে তোলে।
ঈশ্বরদী থেকে যশোর যাওয়ার সবচেয়ে সস্তা ট্রেন কোনটি?
সাধারণত সোনার বাংলা এক্সপ্রেস বা ঈশ্বরদী এক্সপ্রেস সবচেয়ে সস্তা। ভাড়া প্রায় ২০০-২৭০ টাকা। তবে আরাম ও সুবিধা বিবেচনা করে ট্রেন নির্বাচন করা উত্তম।
অনলাইনে ট্রেন টিকেট কিভাবে কেনা যায়?
অনলাইনে টিকেট বুক করতে যাত্রী বিভিন্ন রেলওয়ে ওয়েবসাইট বা মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করতে পারেন। যাত্রী তার যাত্রার সময়, তারিখ এবং সিট নির্বাচন করে পেমেন্ট করলে টিকেট নিশ্চিত হয়।
উপসংহার
ঈশ্বরদী থেকে যশোর রুটটি দেশের গুরুত্বপূর্ণ রেল রুটগুলোর মধ্যে একটি। এখানে নিয়মিত ট্রেন চলাচল করে এবং যাত্রীরা সহজে ভ্রমণ করতে পারেন।
ট্রেনের ধরন ও সেবার মান অনুযায়ী যাত্রীরা তাদের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত ট্রেন নির্বাচন করতে পারেন। শাটল, এক্সপ্রেস বা ডিলাক্স সার্ভিস—সব ধরনের ট্রেন পাওয়া যায়।
যাত্রীরা চাইলে সরাসরি স্টেশনে গিয়ে টিকেট কিনতে পারেন বা অনলাইনে বুকিং করতে পারেন। অনলাইন বুকিং দ্রুত, সুবিধাজনক এবং নিরাপদ।
পরিকল্পিত ভ্রমণের জন্য ট্রেনের সময়সূচী, ভাড়া ও সুবিধা যাচাই করা গুরুত্বপূর্ণ। এতে সময় ও অর্থের সাশ্রয় হয়।
পরিবার, ব্যবসায়ী, পর্যটক বা ছাত্র-ছাত্রীরা সকলেই এই রুটে ট্রেন ব্যবহার করে। সঠিক পরিকল্পনা ও প্রস্তুতি নিয়ে যাত্রা করলে এটি স্বাচ্ছন্দ্যময় এবং নিরাপদ।
নিয়মিত ও নিরাপদ যাত্রার জন্য ট্রেন সার্ভিসের তথ্য জানা জরুরি। এছাড়াও, যাত্রীরা কোনো সমস্যা হলে কাউন্টার বা হেল্পলাইনে যোগাযোগ করতে পারেন।
ভ্রমণ নিরাপদ, আরামদায়ক এবং সুবিধাজনক করতে প্রতিটি যাত্রীকে নিয়ম মেনে চলা উচিত।
