খুলনা টু যশোর ট্রেনের সময়সূচী
বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত খুলনা ও যশোর শহর দুটি যাত্রী ও ব্যবসায়িক যাতায়াতের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র। খুলনা থেকে যশোর রেল যোগাযোগ প্রতিদিন হাজার হাজার লোকের যাত্রাকে সহজ সে দিক থেকে এই রুটটির গুরুত্ব কম নয়। রেলপথে যাত্রা কম খরচে, অপেক্ষাকৃত নিরাপদ ও অপেক্ষাকৃত আরামদায়ক হওয়ায় অনেক যাত্রী তাদের ভ্রমণ পরিকল্পনায় এই পথ বেছে নিচ্ছে।
যশোর আর খুলনার মাঝের পথ দীর্ঘ নয়, ফলে দিনমজুর, শিক্ষার্থী, ছোট ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ নিয়মিত এই রুট ব্যবহার করেন। রেল যোগাযোগের কারণে সময় ও খরচ উভয়ই কম হয় — টপোলজি, স্টেশনের অবস্থান, যাত্রাসুবিধা বিবেচনায় থাকা যায়। যাত্রীদের আগ্রহ মাথায় রেখে এই রুটে ট্রেনের সময়সূচী, টিকিট কেনার পদ্ধতি ও অন্যান্য সাজেশন নিচে বিশদভাবে দেওয়া হলো।
খুলনা টু যশোর ট্রেনের সময়সূচী

খুলনা থেকে যশোর রুটে বেশ কিছু ট্রেন রয়েছে যা নিয়মিত চলাচল করে। নিচের টেবিলে কয়েকটি জনপ্রিয় ট্রেনের আনুমানিক সময় ও তথ্য দেখানো হলো — যাত্রা পরিকল্পনায় আগে দেখে নেওয়া ভালো।
উল্লেখ্য যে সময়সূচী মাঝে মাঝে পরিবর্তন হতে পারে এবং ভাড়া আসন শ্রেণি অনুযায়ী বাড়তে বা কমতে পারে। যাত্রারদিন স্টেশনে গিয়ে নিশ্চিত করা ভালো।
ট্রেন কাউন্টার নাম ও যোগাযোগ নম্বর সমূহ
যাত্রার আগে ট্রেন টিকেট কেনা যাবে স্টেশনের টিকিট কাউন্টার থেকে। খুলনা ও যশোর রেলস্টেশনসহ সংশ্লিষ্ট কাউন্টারগুলোর নাম ও যোগাযোগ নম্বর নিচে দেওয়া হলো।
| কাউন্টার নাম | অবস্থান | যোগাযোগ নম্বর |
| খুলনা রেলস্টেশন কাউন্টার | খুলনা সদর | 041-720162 (প্রায়) |
| যশোর রেলস্টেশন কাউন্টার | যশোর সদর | 0421-68345 (প্রায়) |
| রেলসেবা হেল্পলাইন | সারাদেশ | 16318 |
উপরের নম্বরগুলো আনুমানিক এবং পরিবেশনা অনুযায়ী পরিবর্তিত হতে পারে। যাত্রার আগেই ফোন করে নিশ্চিত করা উত্তম।
ট্রেনের টিকেট কেনার পদ্ধতি?

বাংলাদেশে রেল ট্রেনে যাত্রার জন্য টিকেট কেনার পদ্ধতি এখন বেশি সহজ হয়েছে। নিচে ধাপে ধাপে টিকিট কেনার নিয়ম দেওয়া হলো —
প্রথমে বাংলাদেশ রেলওয়ে এর অনলাইন সেবা বা স্টেশনের কাউন্টার থেকে যাচাই করুন। অনলাইনে টিকিট কিনতে হলে রেলওয়ের ওয়েবসাইট বা মোবাইল অ্যাপ ওপেন করুন। নতুনব্যবহারকারী হলে রেজিস্ট্রেশন করুন — নাম, মোবাইল নম্বর, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর দিতে হয়।লগইন করার পর যাত্রার স্টেশন “খুলনা” ও গন্তব্য স্টেশন “যশোর” হিসাবে নির্বাচন করুন।
যাত্রার তারিখ নির্বাচন করে উপস্থিত ট্রেনের তালিকা দেখুন। যেমন — কাপোতাক্ষ এক্সপ্রেস, রূপসা এক্সপ্রেস ইত্যাদি। আসন শ্রেণি (শোভন, শোভন চেয়ার, স্নিগ্ধা, এসি ইত্যাদি) নির্বাচন করুন।
ভাড়া নির্ধারণ হলে পেমেন্ট ধাপে যান। এছাড়া কাউন্টার থেকেও নগদ বা অন্যান্য পদ্ধতিতে টিকেট কেনা যায়।
অনলাইনে হলে পেমেন্ট সফল হলে ই-টিকিট এমেইল বা অ্যাপে পাবেন। স্টেশনে যাত্রার সময় সেই ই-টিকিট স্ক্যান বা দেখাতে হবে।টিকেট কাউন্টার থেকেও কিনলে স্টেশনে সরাসরি গিয়ে লাইনে দাঁড়ান, আপনার আসনের জায়গা নিশ্চিত করুন।
যাত্রার দিনে যাত্রা সময়ের কমপক্ষে ৩০ মিনিট আগে স্টেশনে পৌঁছান। কোনো কারণে টিকেট পরিবর্তন বা বাতিল করতে হলে রেলওয়ের নিয়ম অনুযায়ী করবেন। রেলসেবা হেল্পলাইনে কোনো সমস্যা হলে ফোন করে সহায়তা নেওয়া যাবে।এই নিয়মগুলো মেনে চললে খুলনা থেকে যশোর রুটে ট্রেন যাত্রা তুলনায় সহজ, দ্রুত ও নিরাপদ হয়।
খুলনা থেকে যশোর রুটে সবচেয়ে কম খরচে ট্রেন কোনটি?
এই রুটে সাধারণ “শোভন” শ্রেণির আসন দিয়ে স্তর তুলনায় ভাড়া কম হয়— প্রায় ৳৬০ থেকে শুরু। উদাহরণস্বরূপ রূপসা এক্সপ্রেস ও কাপোতাক্ষ এক্সপ্রেস এই বিভাগে রয়েছে।
খুলনা থেকে যশোর যাত্রায় ট্রেন সময়সূচী কি পরিবর্তন হতে পারে?
হ্যাঁ, ট্রেনের সময়সূচী মাঝে মাঝে রেলওয়ের পরিচালনা, রেললাইন সংস্কার বা ঝড়, বন্যার কারণে পরিবর্তিত হতে পারে। তাই যাত্রার আগে রেলওয়ের অফিসিয়াল সাইট বা স্টেশনের কাউন্টারে সময়সূচী যাচাই করে নেওয়া ভালো।
উপসংহার
খুলনা থেকে যশোর রুটে ট্রেন যাত্রা বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জন্য খুবই প্রাসঙ্গিক এবং কার্যকর। এই রুট দিয়ে প্রতিদিন অনেক শিক্ষার্থী, কর্মচারী ও ব্যবসায়ী যাতায়াত করেন। সময়, খরচ ও নিরাপত্তার দিক থেকে ট্রেন যাত্রা তুলনায় উপযুক্ত। রেলওয়ের আধুনিক কিছু সেবা, অনলাইন টিকিটিং, এবং উন্নত স্টেশন ব্যবস্থার কারণে এই রুট আরো বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। তবে যাত্রার আগে সময়সূচী ও টিকেট তথ্য ভালোভাবে যাচাই করা জরুরি, কারণ কখনো কখনো পরিবর্তন হয়।
যাত্রাপথে একটু পরিকল্পনা নিয়ে চললে ট্রানজিট সহজ হয় এবং আপনার যাত্রা হবে আনন্দদায়ক। ভবিষ্যতে এই রুটে আরও বেশি দ্রুতগামী ট্রেন যুক্ত হলে সময়ও কম হবে এবং যাত্রী সংখ্যা আরও বাড়বে। তাই, খুলনা-যশোর রেল যাত্রা করলে আপনি নিরাপদ ও স্বপ্নের মতো ভ্রমণ অভিজ্ঞতা পেতে পারেন।
