Kidney Specialist Doctor Sylhet Ibn Sina1

কিডনি বিশেষজ্ঞ ডাক্তার সিলেট ইবনে সিনা

মানব শরীরের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হলো কিডনি। এটি শরীরের বর্জ্য পদার্থ ছেঁকে প্রস্রাবের মাধ্যমে বাইরে বের করে দেয়, রক্তের রাসায়নিক ভারসাম্য ঠিক রাখে এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। কিন্তু খাদ্যাভ্যাস, অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, পানির অভাব কিংবা বিভিন্ন ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কারণে অনেক সময় কিডনির সমস্যা দেখা দেয়। বাংলাদেশে প্রতি বছর অসংখ্য মানুষ কিডনি রোগে আক্রান্ত হয়, বিশেষ করে সিলেট অঞ্চলেও এর হার কম নয়। তাই এই অঞ্চলের রোগীদের জন্য দক্ষ ও অভিজ্ঞ কিডনি বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের পরামর্শ নেওয়া অত্যন্ত জরুরি।

সিলেটের ইবনে সিনা হাসপাতাল কিডনি চিকিৎসায় সুপরিচিত একটি নাম। এখানে আধুনিক ল্যাব সুবিধা, হেমোডায়ালাইসিস ইউনিট, এবং অভিজ্ঞ নেফ্রোলজিস্টদের সমন্বয়ে রোগীদের সর্বোচ্চ সেবা দেওয়া হয়। রোগ নির্ণয় থেকে শুরু করে দীর্ঘমেয়াদি কিডনি কেয়ার পর্যন্ত সব ধরনের সেবা এক ছাদের নিচে পাওয়া যায়। বিশেষ করে যারা ডায়াবেটিস বা উচ্চ রক্তচাপজনিত কারণে কিডনি সমস্যায় ভুগছেন, তাদের জন্য এটি একটি নির্ভরযোগ্য কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত।

সঠিক সময়ে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া ও নিয়মিত ফলো-আপ করা কিডনি সুস্থ রাখার অন্যতম উপায়। তাই আজকের এই লেখায় আমরা জানব—সিলেটের ইবনে সিনা হাসপাতালের কিছু অভিজ্ঞ কিডনি বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের নাম, পদবী ও যোগ্যতা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য।

কিডনি বিশেষজ্ঞ ডাক্তার সিলেট ইবনে সিনা

Kidney Specialist Doctor Sylhet Ibn Sina2

সিলেটের ইবনে সিনা হাসপাতাল বাংলাদেশের অন্যতম পরিচিত প্রাইভেট মেডিকেল সেন্টার, যেখানে প্রতিদিন শত শত রোগী কিডনি চিকিৎসার জন্য আসেন। আধুনিক ল্যাবরেটরি, উন্নত ডায়ালাইসিস ব্যবস্থা এবং অভিজ্ঞ নেফ্রোলজি টিমের কারণে এখানে চিকিৎসা গ্রহণে রোগীরা আস্থা পান। নিচে ইবনে সিনা সিলেট শাখার কয়েকজন অভিজ্ঞ কিডনি বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের নাম ও যোগ্যতা দেওয়া হলো—

অধ্যাপক ডাঃ আলমগীর চৌধুরী

পার্কভিউ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, সিলেট

কিডনি ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ

অধ্যাপক ডাঃ আলমগীর চৌধুরী সিলেটের অন্যতম অভিজ্ঞ কিডনি বিশেষজ্ঞ। তিনি দীর্ঘদিন ধরে কিডনি রোগ, উচ্চ রক্তচাপ এবং ডায়াবেটিসজনিত জটিলতার চিকিৎসায় কাজ করছেন। রোগ নির্ণয় ও পরামর্শে তাঁর অভিজ্ঞতা রোগীদের কাছে বিশেষ আস্থা অর্জন করেছে।

ডাঃ আব্দুল লতিফ (রেনু)

আল হারামাইন হাসপাতাল ও জালালাবাদ রাগিব-রাবেয়া মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, সিলেট

কিডনি বিশেষজ্ঞ

ডাঃ আব্দুল লতিফ (রেনু) কিডনি ও ইউরিনারি ট্র্যাক্ট রোগের একজন অভিজ্ঞ চিকিৎসক। তিনি রোগীদের জন্য কিডনি সংরক্ষণ ও ডায়ালাইসিস সেবা প্রদান করেন। সিলেট অঞ্চলে কিডনি চিকিৎসায় তিনি পরিচিত মুখ।

ডাঃ এম. হাসান আখতার

নূরজাহান হাসপাতাল (প্রা.) লিমিটেড ও পার্কভিউ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, সিলেট

ইউরোলজি বিশেষজ্ঞ

ডাঃ এম. হাসান আখতার ইউরোলজি ও কিডনি সম্পর্কিত সার্জারির ক্ষেত্রে অভিজ্ঞ একজন চিকিৎসক। তিনি প্রোস্টেট সমস্যা, কিডনি পাথর ও ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশনের চিকিৎসায় বিশেষ দক্ষতা অর্জন করেছেন।

ডাঃ সুব্রত দেব

ট্রাস্ট মেডিকেল সার্ভিসেস ও কেয়ার হসপিটাল, সিলেট

কিডনি বিশেষজ্ঞ

ডাঃ সুব্রত দেব সিলেট অঞ্চলের একজন দক্ষ কিডনি বিশেষজ্ঞ। তিনি ক্রনিক কিডনি ডিজিজ, হাইপারটেনশন ও ডায়াবেটিক নেফ্রোপ্যাথি চিকিৎসায় পারদর্শী। তাঁর পেশাদারিত্ব ও রোগীর প্রতি যত্নশীল মনোভাব রোগীদের আস্থাশীল করে তোলে।

ডাঃ ফাতেমা খানম

মাউন্ট এডোরা হাসপাতাল, আখালিয়া, সিলেট

কিডনি বিশেষজ্ঞ

ডাঃ ফাতেমা খানম একজন অভিজ্ঞ নেফ্রোলজিস্ট, যিনি নারী ও সাধারণ রোগীদের কিডনি সংক্রান্ত সমস্যা নিয়ে কাজ করেন। তিনি নিয়মিত কিডনি চেকআপ, ডায়ালাইসিস ও কিডনি কেয়ার পরামর্শ প্রদান করেন।

ডাঃ মোহাম্মদ সাইফুর রহমান

পপুলার মেডিকেল সেন্টার লিমিটেড, নিউ মেডিকেল রোড, কাজলশাহ, সিলেট

কিডনি বিশেষজ্ঞ

ডাঃ মোহাম্মদ সাইফুর রহমান কিডনি ও রেনাল মেডিসিনে বিশেষজ্ঞ। তিনি দীর্ঘদিন ধরে কিডনি ফাংশন মনিটরিং ও চিকিৎসা প্রদান করছেন। তাঁর পরামর্শে বহু রোগী কিডনি জটিলতা থেকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছেন।

প্রফেসর ডাঃ ধ্রুব দাস

পপুলার মেডিকেল সেন্টার লিমিটেড, নিউ মেডিকেল রোড, কাজলশাহ, সিলেট

কিডনি বিশেষজ্ঞ

প্রফেসর ডাঃ ধ্রুব দাস একজন সিনিয়র নেফ্রোলজিস্ট ও কিডনি রোগ বিশেষজ্ঞ। তিনি চিকিৎসা শিক্ষা ও গবেষণায়ও অবদান রাখছেন। কিডনি ফেইলিউর, রেনাল ডায়ালাইসিস এবং নেফ্রোপ্যাথি চিকিৎসায় তাঁর দক্ষতা উল্লেখযোগ্য।

ডাঃ আবু আহমদ গোলাম আকবর

ইবনে সিনা হাসপাতাল, সোবহানীঘাট পয়েন্ট, সিলেট

কিডনি বিশেষজ্ঞ

ডাঃ আবু আহমদ গোলাম আকবর ইবনে সিনা সিলেট শাখার অন্যতম অভিজ্ঞ কিডনি বিশেষজ্ঞ। তিনি কিডনি ফাংশন টেস্ট, ডায়ালাইসিস ও দীর্ঘমেয়াদি কিডনি কেয়ারে অভিজ্ঞ। রোগীর সমস্যা বিশ্লেষণ করে সঠিক চিকিৎসা প্রদানে তিনি পরিচিত।

ডাঃ মোঃ সাইফুল ইসলাম

ইবনে সিনা হাসপাতাল ও সিলেট ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল লিঃ

কিডনি বিশেষজ্ঞ

ডাঃ মোঃ সাইফুল ইসলাম কিডনি ও ইউরিনারি ডিজঅর্ডার চিকিৎসায় অভিজ্ঞ একজন নেফ্রোলজিস্ট। তিনি ডায়াবেটিসজনিত কিডনি জটিলতা, রেনাল ফেইলিউর ও কিডনি কেয়ার বিষয়ে বিশেষ পারদর্শিতা অর্জন করেছেন।

ডাঃ এম. এ মাজিদ

ইবনে সিনা হাসপাতাল, সোবহানীঘাট পয়েন্ট, সিলেট

কিডনি বিশেষজ্ঞ

ডাঃ এম. এ মাজিদ একজন দক্ষ কিডনি বিশেষজ্ঞ, যিনি সিলেট অঞ্চলে কিডনি রোগ ও উচ্চ রক্তচাপজনিত জটিলতার চিকিৎসায় দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন। তাঁর সঠিক পরামর্শ ও মানবিক ব্যবহারে অনেক রোগী উপকৃত হচ্ছেন।

বহুল জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন ও উত্তর সমূহ

কিডনি বিশেষজ্ঞ ডাক্তার সিলেট ইবনে সিনা  এই বিষয়ে আপনার মনে বেশ কয়েকটি প্রশ্ন উঁকি দিচ্ছে? তাহলে চলুন জেনে নেই সেই সকল প্রশ্ন ও উত্তরগুলো-

কিডনি রোগের প্রাথমিক লক্ষণ কী কী?


কিডনি রোগের প্রাথমিক লক্ষণগুলো সাধারণত খুব সূক্ষ্ম হয়। যেমন—প্রস্রাবের রঙ পরিবর্তন, হাত-পা ফোলা, অতিরিক্ত ক্লান্তি, খাবারে অরুচি এবং ঘুমের সমস্যা। এসব লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত কিডনি পরীক্ষা করানো উচিত।

কিডনি সুস্থ রাখতে দৈনন্দিন কী করা উচিত?


প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি পান করুন, লবণ ও প্রসেসড খাবার কম খান, নিয়মিত ব্যায়াম করুন, ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখুন এবং প্রয়োজন ছাড়া ওষুধ খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। বছরে অন্তত একবার কিডনি ফাংশন টেস্ট করা স্বাস্থ্যকর অভ্যাস।

উপসংহার

কিডনি রোগকে “নীরব ঘাতক” বলা হয়, কারণ এটি শুরুতে তেমন লক্ষণ প্রকাশ না করেই ধীরে ধীরে শরীরের বড় ক্ষতি করে। তাই নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা, পর্যাপ্ত পানি পান, সুষম খাদ্যাভ্যাস এবং ডাক্তারের পরামর্শ অনুসরণ করা কিডনি সুস্থ রাখার জন্য অপরিহার্য।

সিলেটের ইবনে সিনা হাসপাতাল কিডনি চিকিৎসায় এক দশকেরও বেশি সময় ধরে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে। এখানকার ডাক্তাররা রোগীর অবস্থার ভিত্তিতে ব্যক্তিগত চিকিৎসা পরিকল্পনা তৈরি করেন। অনেক রোগী নিয়মিত ফলো-আপ ও ডায়ালাইসিসের মাধ্যমে নতুন জীবন ফিরে পেয়েছেন।


যদি আপনার শরীরে কিডনি সম্পর্কিত কোনো উপসর্গ যেমন—অতিরিক্ত ফোলাভাব, প্রস্রাব কমে যাওয়া, ক্লান্তি, বা রক্তচাপ বেড়ে যাওয়া দেখা দেয়, তাহলে দেরি না করে অভিজ্ঞ নেফ্রোলজিস্টের পরামর্শ নিন। সঠিক সময়ে চিকিৎসা নিলে কিডনি জটিলতা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।
অতএব, কিডনি সুরক্ষায় সচেতনতা, সময়মতো চিকিৎসা এবং ইবনে সিনার মতো নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসা গ্রহণ—এই তিনটি বিষয়ই হতে পারে একটি সুস্থ জীবনের ভিত্তি।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *