রাজশাহী টু বরিশাল বাস সার্ভিস
রাজশাহী থেকে বরিশাল রুটটি ভ্রমণকারীদের জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ। এই রুট দিয়ে অনেক যাত্রী ঢাকা ছাড়াও স্থানীয় জেলার মানুষ ভ্রমণ করেন — পরিবার, ব্যবসা, বন্ধুবান্ধব ভ্রমণ কিংবা ঘুরতে যাওয়া। রাস্তা-মার্গ, পরিবহন সংযোগ, সময় ও ভাড়া— এই তিনে সযত্নে নজর দেওয়া দরকার। বরিশাল অঞ্চলে নদী ও জলপথের পাশাপাশি সড়ক যোগাযোগও বাড়ছে, ফলে বাস সার্ভিসের চাহিদা বাড়ছে।
যাত্রীদের জন্য আগে থেকে পরিকল্পনা করা ভালো — কখন রওনা দিবেন, কত সময় লাগতে পারে, ভাড়া কত হতে পারে ইত্যাদি। রাস্তায় ট্রাফিক, রাস্তার গড়ার অবস্থা, উপরের যানজট ইত্যাদি বিষয় বিবেচনায় নিতে হবে। এছাড়া প্রাকৃতিক কারণ যেমন বর্ষা, রাতে চলাচল— এসবও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই ব্লগ পোস্টে আমরা রুটের সময়সূচী, বাস কোম্পানিগুলো, কাউন্টার নম্বর, টিকিট কেনার পদ্ধতি সহ বিস্তারিত তথ্য দেব—আপনার যাত্রা স্বস্তিদায়ক হবে এই লক্ষ্য নিয়ে।
রাজশাহী টু বরিশাল বাস সার্ভিস

এই রুটে কয়েকটি বাস কোম্পানি কার্যকর রয়েছে। নিচের টেবিলে সাধারণ রূপে কোম্পানি, আনুমানিক ভাড়া, প্রথম ট্রিপ, শেষ ট্রিপ ও দৈনিক ফ্রিকোয়েন্সি দেওয়া হয়েছে। রুটে চলাচলসূচী দিনে দিনে বদলায়—তাই যাত্রার আগে নির্ধারিত তারিখে সময়সূচী যাচাই করা জরুরি।
| বাস কোম্পানি | ভাড়া (প্রায়) | প্রথম ট্রিপ | শেষ ট্রিপ | দৈনিক ফ্রিকোয়েন্সি |
| তুহিন পরিবহন | ৭০০–১,২০০ | ০5:45 AM | ১০:০০ PM | ৩ বার |
| পদ্মা পরিবহন | ৫৫০–৯০০ | ০7:00 AM | ১১:৩০ PM | ৪ বার |
| উদাহরণ ট্রাভেল C | ৮০০–১,৫০০ | ০৭:০০ AM | ০৯:০০ PM | ২ – ৩ বার |
কাউন্টার ও যোগাযোগ নম্বর সমূহ
নিচে টেবিলে দেওয়া বাস কোম্পানিগুলো, তাদের কাউন্টার নাম ও মোবাইল নম্বর দেওয়া আছে। যোগাযোগ নম্বরগুলো পরিবর্তনশীল হতে পারে — কাউন্টারে গেলে আগে ফোন করে নিশ্চিত হওয়া উত্তম।
| বাস কোম্পানি | কাউন্টার নাম | মোবাইল নম্বর |
| তুহিন পরিবহন | রাজশাহী কাউন্টার | 01710296075 |
| পদ্মা পরিবহন | বরিশাল কাউন্টার | 01710296075 |
| উদাহরণ ট্রাভেল C | জেলা কাউন্টার | ০১৯xx xxxxxx |
বাস টিকেট কেনার পদ্ধতি?

প্রথমে রুট নির্ধারণ করুন:
রাজশাহী থেকে বরিশাল রুট কিমাত্র রুট আপনি বেছে নিচ্ছেন কি না তা নিশ্চিত করবেন। বাস কোম্পানির নাম, রুট, সময়সূচী ও ভাড়া দেখে নিন।
অনলাইন বুকিং:
আজকাল বেশির ভাগ কোম্পানি বা ট্রাভেল এজেন্সি অনলাইন টিকিটিং সেবা দেয়। যেমন আপনি মোবাইল অ্যাপ বা ওয়েবসাইট থেকে সিট নির্বাচন করতে পারবেন, পেমেন্ট করে e-ticket পাবেন। এই পদ্ধতিতে লাইনে অপেক্ষা কম হয় এবং জায়গা নিশ্চিত করা যায়।
কাউন্টার-বুকিং:
যদি অনলাইন করা না হয়, সরাসরি বাস কাউন্টার গিয়ে টিকিট কেনা যায়। কাউন্টার স্ট্যাফকে রুট ও সময় বলুন, ভাড়া জেনে নিন, এরপর টিকিট কাটুন। উৎসব বা ছুটির দিনে আগেই কাউন্টারে গিয়ে টিকিট নেওয়া নিরাপদ।
ভাড়া ও টাইপ নির্বাচন:
বাসের টাইপ যেমন এসি, নন-এসি, স্লীপার ইত্যাদি ভিন্ন ভাড়া হয়। দিন বা রাত সময়ে চলাচল করলে ভাড়া বাড়তে পারে। তাই টাইপ ও সময় দেখে সিদ্ধান্ত নিন।
টিকিট কনফার্মেশন:
অনলাইন বা কাউন্টারে টিকিট কেটে নেওয়ার পর তা সংরক্ষণ করুন—মোবাইলে স্ক্রিনশট রাখুন অথবা ভৌতিক টিকিট হলে সটি সংরক্ষণ করুন। যাত্রার আগে রউন্ড ট্রিপ, ব্যাগেজ নীতি, ছাড়ার সময় ইত্যাদি জানুন।
পেমেন্ট পদ্ধতি:
অনলাইনে সাধারণত কার্ড, বিকাশ, রকেট ইত্যাদি ব্যবহার করা যায়। কাউন্টারেও অনেক সময় বিকাশ বা নগদ পেমেন্ট করা হয়। নিরাপদ পদ্ধতি ব্যবহার করুন।
বাতিল ও পরিবর্তন নীতি: অনেক কোম্পানির কাছে টিকিট বাতিল বা সময় পরিবর্তনের অপশন থাকে। ফেরত পাওয়া যাবে কি না, কোন শর্তে বাতিল করানো যাবে—সব আগে দেখে রাখুন।
যাত্রার আগে উপস্থিত থাকা:
বাস ছাড়ার আগে ৩০–৬০ মিনিট আগে কাউন্টার বা বাস স্ট্যান্ডে পৌঁছানো ভালো। ব্যাগেজ জমা দেওয়া ও সিট নিশ্চিতের জন্য সময় লাগে।
নিরাপত্তা ও সুবিধা: যাত্রার সময় গুরুত্বপূর্ণ তথ্য যেমন হেল্পলাইন নম্বর, বাস অপারেটরের নাম, যাত্রীদের জানার সুবিধা—সব আগে রেকর্ড করে রাখুন।
উৎসব বা ছুটির সময়:
ঈদ বা বড় ছুটিতে যাত্রী সংখ্যা বেশি হয়, আগেভাগে টিকিট কেটে রাখা ভালো। এমন সময় সময়ে তৈরি থাকুন—বিকল্প রুট বা সময় পরিকল্পনা রাখা ভালো।
রাজশাহী থেকে বরিশাল বাস ভাড়া কত হতে পারে?
সাধারণত রুট ও বাসের ধরনের ওপর ভাড়া নির্ধারিত হয়—নন-এসি কোচে কম, এসি বা স্লীপার হলে বেশি হয়। অনু কভাবে ৳৫৫০ থেকে শুরু হতে পারে এবং বিশুদ্ধ সার্ভিসে ৳১,২০০ বা তারও বেশি হতে পারে। নির্দিষ্ট দিন ও সময় অনুযায়ী ভাড়া ওঠানামা করে।
অনলাইনে টিকিট না পেলে কি কাউন্টার-টিকিটেই যেতে পারি?
হ্যাঁ, কাউেন্টার-টিকিটেই যাওয়া সম্ভব। তবে উৎসব অথবা ছুটির দিনে আগে কাউন্টার গিয়ে টিকিট নেওয়া ভালো—অনলাইন না হলে লাইনে বেশি সময় কাটতে পারে। ফোন করে কাউন্টার মোবাইল নম্বর নিশ্চিত করা উত্তম।
উপসংহার
রাজশাহী থেকে বরিশাল রুটে বাস যাত্রা অনেক মানুষের জন্য কার্যকর ও সুবিধাজনক। তবে শুধু রুট জানা যথেষ্ট নয় ভাড়া, সময়সূচী, কাউন্টার নম্বর ও টিকিট কেনার পদ্ধতি ভালোভাবে বোঝা জরুরি। অনলাইন বুকিং সুবিধা অনেক সময় লাইনের ঝামেলা কমায়, কিন্তু কাউন্টারেও আগেভাগে গিয়ে টিকিট নেওয়া নিরাপদ।
রুটের দৈনিক ফ্রিকোয়েন্সি ও ভাড়া বিভিন্নসময় পরিবর্তিত হয়, তাই যাত্রার আগে সর্বশেষ তথ্য সংগ্রহ করুন। রাতে চলাচলে সুযোগ ও নিরাপত্তা বিবেচনায় নিন। ব্যাগেজ, সিট টাইপ, কাটিং সময় সবাই মাথায় রাখুন। এই রুটে প্ল্যানিং সহকারে যাত্রা করলে সময় ও খরচ উভয়ই বাঁচে—আর মন শান্তিতে থাকে। আপনাকে নিরাপদ, আরামদায়ক ও স্মরণীয় যাত্রার শুভকামনা।
